সন্তানকে সুখী-আত্মবিশ্বাসী করতে বাবার ভূমিকা

সন্তানকে সুখী-আত্মবিশ্বাসী করতে বাবার ভূমিকা
Spread the love

একটা শিশুর বেড়ে উঠতে সাধারণত বাবা-মা দুজনের অবদানই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত বাবারা বেশিরভাগই ক্ষেত্রেই পরিবারের অর্থনৈতিক চাপটা সামাল দিয়ে থাকেন। ঘরটা সামলানোর কাজে থাকেন মায়েরা। তবে গবেষকরা জানিয়েছেন, যে সকল বাবারা তার সন্তানের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকেন তাদের সন্তানরা বেশি সুখী এবং আত্মবিশ্বাসী বোধ করেন।

সন্তানকে আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলতে চাইলে বাবাকে নিতে হবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। যদিও আশার কথা এই যে, বর্তমানে বাবারা পরিবারে সন্তান লালন পালনে সরাসরি অবদান রাখছেন। অনেক বাবাই শিশুর খাদ্য থেকে শুরু করে সার্বিক যত্ন করে থাকেন। দিন বদলে যাচ্ছে, তাই সময়ের সাথে বদলাতে হবে প্রত্যেককে। পরিবারের দায়িত্বে, শিশুর যত্নে সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে হবে পুরুষদের।

দেখে নিন শিশুর সাথে কেমন আচরণ করবেন:

শিশুদের সাথে কথা বলুন। নবজাতক হলেও কথা বলতে হবে কারণ আপনার চেহারার অভিব্যক্তি দেখে শিশু বুঝতে পারে।

শিশুকে ভালোবাসা দেখান। অনেক বাবাই সন্তানকে ভালোবাসেন, কিন্তু প্রকাশ করেন না। গবেষণা বলছে শিশুকে ভালোবাসা দেখাতে হবে, আদর করা, আহ্লাদী ভাষা প্রয়োগ করা, স্পর্শ করা, জড়িয়ে ধরা খুবই জরুরী।

শিশুদের কথা শুনতে হবে। তারা কি মুডে আছে তা বুঝে তাদেরকে ফলো করতে হবে।


শিশুদের কাজের প্রশংসা করতে হবে। ধরুন তাকে কিছু নিয়ে আসতে বললেন, শিশুটি নিয়ে আসলো, তার কাজের জন্য বাহাবা দিন, প্রশংসা করুন, উৎসাহিত করুন।

শিশুদের কাজে মনোযোগী বা ফোকাস হবার জন্য সহযোগিতা করুন।

সামাজিক মূল্যবোধ, কালচার, নিয়ম শিখতে সাহায্য করুন। বাচ্চাদের সাথে কোয়ালিটি টাইম ব্যয় করুন। আপনারও ভালো সময় কাটবে।

বাবাকে সন্তানের মডেল হতে হবে। যেমন আপনি যদি রাতের বেলা ব্রাশ করে, ফ্রেস হয়ে শুতে যান, আপনার সন্তানও তাই করবে। শিশু বাবাকে অনুসরণ করে থাকে। তাই তার বই পড়ার মতো ভালো অভ্যাস গড়তে হলে আপনাকেও বই পড়তে হবে, তার মডেল হতে হবে।

About The Author