প্রেমে পড়লে জীবনটা যেন এক নিমেষে রঙিন হয়ে ওঠে! তখন প্রেমিক বা প্রেমিকার সঙ্গ ভালো লাগে, সব কিছু তার সঙ্গে ভাগ করে নিতে না পারলে মন ভরে না! এমনকী, প্রেমিক বা প্রেমিকাকে বাদ দিয়ে একার জন্য কিছু চিন্তাও করা যায় না!
কিন্তু এটা করতে গিয়ে আপনি নিজেকেই হারিয়ে ফেলছেন না তো? সবসময় যদি সঙ্গীর পছন্দ-অপছন্দকে গুরুত্ব দিতে থাকেন, তা হলে মুশকিল। কারণ সময়ের নিয়মে একদিন নতুন প্রেম পুরনো হবে, তার রংও ফিকে হয়ে আসবে অনেকটা, কিন্তু সে সময়ে আপনার নিজস্বতা বলে আর কিছু হয়তো নাও থাকতে পারে।
কিছু জিনিস তো অবশ্যই ছাড় দিতে হয়। দুজনের সমঝোতাতেই সম্পর্ক টিকে থাকে। কিন্তু নিজস্ব কিছু জিনিস কখনোই বিসর্জন দিতে হয় না। এই বিসর্জনগুলো যদি সঙ্গীই চেয়ে নেন, তবে বুঝবেন আপনার সম্পর্কটি কখনোই সফলতা পাবে না। এবং এই বিসর্জন দেয়ার চাইতে সম্পর্কটি ছেড়ে দেয়াই ভালো।
সে আশঙ্কা এড়িয়ে চলতে এখন থেকেই মাথায় রাখুন কিছু জরুরি পয়েন্ট।
নিজের পছন্দকে গুরুত্ব দিন:
সঙ্গীর পছন্দকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে নিজের সব ইচ্ছাগুলোকে অবহেলা করবেন না। নিজের চাহিদা ও পছন্দগুলোর কথা জোরগলায় বলুন। সবসময় অপরের পছন্দে সায় না দিয়ে নিজের পছন্দগুলোকেও গুরুত্ব দিন।
নিজের সময়ের দাম দিন:
আপনার সময়ের দাম আছে এবং সেটা আপনার পার্টনারেরও বোঝা দরকার। আপনি অফিস থেকে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করলেন অথচ তিনি প্রায় পুরো সময়টাই ফোনের দিকে তাকিয়ে কাটিয়ে দিলেন — এমন হলে কিন্তু সাবধান হওয়ার সময় হয়েছে।
মাঝেমধ্যে ঝগড়া ভালো:
ঝগড়াঝাঁটি, কথা কাটাকাটি হলে অনেকে চুপ করে যান। কিন্তু তাতে মূল সমস্যাটার সমাধান হয় না। তার চেয়ে নিজের অসন্তোষের কারণটা খোলাখুলি জানালে আপনার পার্টনারেরও ব্যাপারটা বুঝতে সুবিধে হবে, এবং সমস্যার সমাধানটাও খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।
পরস্পরের নিজস্বতাগুলো মেনে নিন:
আপনাদের মধ্যে যত মিলই থাক না কেন, আসলে আপনারা দু’জন স্বতন্ত্র মানুষ। তাই মিল যেমন থাকবে, অমিলেরও অভাব হবে না। অমিলগুলো নিয়ে খিটিমিটি না করে বরং মেনে নিন। তাতে ভুল বোঝাবুঝি কম হবে, সম্পর্কটাও মজবুত থাকবে।
নিজেকে স্পেস দিন:
সঙ্গীকে স্পেস দেওয়া যতটা দরকার, ততটাই প্রয়োজন নিজের স্পেস রাখা। সব সময় দুজন একসঙ্গেই বেরোতে হবে, এমন কোনও কথা নেই। বন্ধুদের সঙ্গে বেরোন, একা শপিংয়ে যান। নিজের সঙ্গে খানিকটা সময় কাটালে দমবন্ধভাবটা চেপে ধরবে না
নিজের ভালোবাসাগুলোকে গুরুত্ব দিন:
প্রেমে পড়লে অনেকসময়ই নিজের শখ বা ভালোবাসার বিষয়গুলো পিছিয়ে পড়ে। আপনি নিজে যা করতে ভালোবাসেন, প্রেমের জন্য তা বন্ধ করে দেবেন না। বরং আপনার সঙ্গীরই উচিত এ সব বিষয়ে আপনাকে উৎসাহ দেওয়া।
আত্মবিশ্বাস ধরে রাখুন:
নিজের মতো থাকার আত্মবিশ্বাসটা কখনও হারাবেন না। নিজের ইচ্ছে, পছন্দ, প্রত্যাশাগুলোর প্রতি বিশ্বাস ধরে রাখুন, নিজের শর্তে বাঁচুন। তাতে হতাশা কখনও গ্রাস করবে না আপনাকে।