পলাতক ছেলেকে পুলিশে দিয়ে আবরার হ’ত্যার বিচার চাইলেন বাবা

পলাতক ছেলেকে পুলিশে দিয়ে আবরার হ’ত্যার বিচার চাইলেন বাবা
Spread the love

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পি’টিয়ে হ’ত্যার অভিযোগে এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি মোর্শেদ অমত্য ইসলাম রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। তবে জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।

এদিকে অমত্য সেনের পিতা মুক্তিযো’দ্ধা রবিউল ইসলাম আবরার হ’ত্যায় দো’ষীদের শা’স্তি দাবি করেছেন। তবে সংবাদ মাধ্যমের কাছে তার ছেলে নিদো’র্ষ বলে দাবি করেছেন তিনি। আদালত প্রঙ্গনে সাংবাদিকদের রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আবরারকে বাঁচানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল আমার ছেলে মোর্শেদ।

মামলায় উল্লেখ আছে- আবরার পানি খেতে চেয়েছিল, তাকে পানি দেওয়া হয়নি। তাকে ডাক্তারের কাছেও নিতে দেওয়া হয়নি। আমার ছেলে আবরারকে পানি খাওয়াতে ও ডাক্তারের কাছে নিতে চেয়েছিল। কিন্তু রবিন তা শুনে নাই। এজন্য রবিন মোর্শেদকে শিবিরও বলেছিল।’ তিনি বলেন, ‘মোর্শেদ গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাজশাহীর গ্রামের বাড়িতে যায়।

৬ অক্টোবর ঢাকায় আসে। প্রথমে সে তার বড় ভাইয়ের বাসায় যায়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় হলে যায়। মামলায় বলা হয়েছে, ৫ অক্টোবর হলের ক্যান্টিনে আসামিরা আবরারকে হ’ত্যার পরিকল্পনা করে। ওই সময় তো মোর্শেদ গ্রামের বাড়িতে ছিল। সে কী করে আবরারকে হ’ত্যার পরিকল্পনা করে? আমার ছেলে নির্দোষ।

আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়েই তাকে আদালতের হাতে তুলে দিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘আমি একজন মুক্তিযো’দ্ধা। আমার ছেলে ঘটনার দিন রাজশাহীতে ছিল। বড় আশা করে তাকে বুয়েটে ভর্তি করিয়ে ছিলাম। সে নির্দোষ। আমি আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছি।’ আবরার হ’ত্যায় এজাহারভুক্ত ২৫ আসামির মধ্যে ২২ আসামি কারাগারে আছেন। আরও তিন আসামি পলাতক রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *