পদ্মাসেতুর ‘৫-এফ’ ২৪তম স্প্যানটি শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের ৩০ ও ৩১ নম্বর খুঁটির ওপর বসানোর কাজ চলছে। স্প্যানটির মাধ্যমে দৃশ্যমান হবে সেতুর ৩৬০০ মিটার।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারে অস্থায়ীভাবে রাখা স্প্যান নিয়ে রওয়ানা করে ভাসমান ক্রেন। সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে নির্ধারিত পিলারের সামনে এসে পৌঁছায় ক্রেনটি।
২৩তম স্প্যান বসানোর ৯ম দিনের মাথায় ২৪তম স্প্যানটিও বসানো হচ্ছে। সবকিছু অনুকূলে থাকলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই স্প্যানটি স্থাপন শেষ হবে।
সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে স্প্যান বহনকারী ক্রেনটি নোঙরের কাজ চলছে। এরপর তোলা হবে পিলারের উচ্চতায়। এর মধ্যেই পদ্মাসেতুর ৪২টি পিলারের মধ্যে ৩৮টি পিলারের কাজ শেষ। বাকি আছে ৪টি পিলারের কাজ। যা শেষ হবে আগামী এপ্রিলে। পদ্মাসেতুতে ৪১টি স্প্যানের মধ্যে ২৩টি বসানো শেষ হয়েছে। বাকি আছে ১৮টি। বাকি স্প্যানগুলো আগামী জুলাইয়ের মধ্যে বসানো শেষ হবে।
মূল সেতু নির্মাণ করছে চীনের চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন। নদীশাসনের কাজে নিয়োগ করা হয়েছে চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশনকে। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোনেম লিমিটেড।
এই সেতুর নির্মাণকাজ তদারকি করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বুয়েট ও কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস। এই সেতু নির্মাণের ফলে দেশের বাণিজ্য, উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম ব্যাপকভাবে বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে জিডিপিও (মোট দেশজ উৎপাদন) দেড় থেকে দুই শতাংশ বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, গত ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে শুরু হয়েছিল পদ্মাসেতুর নির্মাণকাজ। সেতুটি চালু হলে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের ২৫ জেলার সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে।