জানা গেছে, প্যারোলের যে রোডম্যাপ চূরান্ত করা হয়েছে তা তৃতীয় ধাপে আছে। এই আবেদনটি যখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসবে তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এটি পরীক্ষা নিরীক্ষা করবে এবং কিছু শর্ত সাপেক্ষে এই প্যারোলের আবেদনটি অনুমোদন করবে। প্যারোলের আবেদনে যে শর্তগুলো থাকতে পারে, যেটি নিয়ে এখন পর্যন্ত আসলে ত্রিপক্ষীয় আলাপ-আলোচনায় সমঝোতার চেষ্টা চলছে তা হলো-
১. বেগম খালেদা জিয়া রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন।
২. তিনি ৩-৬ মাসের জন্য প্যারোল পাবেন।
৩. বেগম খালেদা জিয়া প্যারোলে মুক্ত হয়ে তিনি কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য, বিবৃতি দেবেন না।
৪. খালেদা জিয়া প্যারোলে মুক্ত হলে প্রতি মাসে মাসে তার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন তার আইনজীবীর মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জমা দেবেন।
৫. বেগম জিয়া তার চিকিৎসা সম্পন্ন হওয়ার পর তিনি দেশে ফিরে আসবেন এবং আবার তার সাজাভোগ করবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, এই শর্তগুলো নিয়েই সরকার, বেগম জিয়ার পরিবার এবং দুটি দেশের কূটনীতিকরা কাজ করছেন এবং আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এটা চূড়ান্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও বিএনপির নেতৃবৃন্দ বলছেন যে, তারা এই ব্যাপারে কিছুই জানেন না। কিন্তু বেগম জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে,
যেহেতু প্যারোলটি একটি ব্যক্তিগত বিষয় এবং চিকিৎসার জন্য, এতে কোনো রাজনৈতিক বিষয় সংশ্লিষ্ট নয়- কাজেই তারা এই প্যারোলের সঙ্গে রাজনীতিকে যুক্ত করতে চাচ্ছেন না। খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং উন্নত চিকিৎসাই তাদের মূখ্য বিষয়। সরকারের পক্ষ থেকেও আজ দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন।
ধারণা করা হচ্ছে যে, শেষ পর্যন্ত যদি একটা সমঝোতা হয়, তাহলে বেগম খালেদা জিয়া খুব সহজেই প্যারোলে মুক্ত হতে পারবেন।