বিয়ের ১৩ বছরের পর ২০০৪ সালে অমৃতা সিংহ ও সাইফ আলি খানের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। এবার সেই বিচ্ছেদ নিয়ে কথা বললেন সাইফ নিজেই। এ বিবাহবিচ্ছেদে তাদের সন্তানদের জীবনে অনেক প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সাইফ বলেন, এটি বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ বিষয়। সেই দিনগুলির অভিজ্ঞতা, আজও আমার জীবনে কাঁটার মতো বিঁধে আছে। এই দিনগুলির কথা আমি জীবনে হয়তো কোনও দিন ভুলতে পারবো না। এমন কিছু ঘটনা আমার জীবনে ঘটে গেছে যা কোনও দিন আমাকে শান্তি দেবে না। সেই সময় আমার বয়স ছিল মাত্র ২০ বছর। এখন আমার জীবনে অনেক পরিবর্তন এসেছে। বাচ্চারা সব সময়ই চায়, তাদের বাবা-মা একসাথে থাকুক, কিন্তু যদি তারা দুই মেরুর বাসিন্দা হয় তাহলে তা কীভাবে সম্ভব। সেই কারণেই আজকাল মানুষ আধুনিক সম্পর্কের দিকে ঝুঁকছে।
এ বিবাহ বিচ্ছেদের প্রভাব কতটা পড়েছিল? এমন প্রশ্নের উত্তরে সাইফ জানান, কোনও শিশুকেই তার পরিবার এবং স্বাচ্ছন্দ্য জীবন-যাপন থেকে আলাদা করা উচিত না। তাতে শিশু মনে কুপ্রভাব পড়ে। তবে অনেক সময় পরিস্থিতি এমন হয় যার জন্য বাবা-মা কিছুতেই নিজেদের মধ্যে মিলে মিশে থাকতে পারে না, কিন্তু যাই হোক না কেনও সন্তানদের স্বাচ্ছন্দ্যে কোনও প্রভাব পড়া উচিত না।
উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে সাইফের আলী খানের সঙ্গে অমৃতার বিয়ে হয়। পাঁচবছর পর তাদের প্রথম সন্তান সারার জন্ম হয়। ২০০১-এ আসে সাইফ-অমৃতার দ্বিতীয় সন্তান ইব্রাহিম। বিয়ের প্রায় ১৩ বছর পর ২০০৪ সালে হঠাৎই বিচ্ছেদ হয়ে যায় ওই জুটির। এরপর অমৃতা আর বিয়ে না করলেও ২০১২ তে অভিনেত্রী করিনা কাপুরকে বিয়ে করেন সাইফ।