অতিরিক্ত ওজন থেকে যত জটিল রোগ

অতিরিক্ত ওজন থেকে যত জটিল রোগ
Spread the love

বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে ওজন বৃদ্ধির হার আশংকাজনক ভাবে বেড়ে চলেছে। বাংলাদেশের কিশোরীদের বিশেষ করে ৭ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে ওজন বাড়ছে। আর অতিরিক্ত ওজন বাড়ার সাথে সাথে তারা স্থূলতার শিকার হচ্ছে। সেই সাথে বিভিন্ন জটিল রোগ দেখা দিচ্ছে।

এসব রোগের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম (polycystic ovary syndrome)। বেশিরভাগর ভাগ কিশোরীরা এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। আর এই রোগে আক্রান্ত হলে ওজন বৃদ্ধির সাথে সাথে মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে অবাঞ্ছিত লোম দেখা যায়। সেই সাথে মাসিক অনিয়মিত এমন কি মাসিক নাও হতে পারে। সেই সাথে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কালো হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। আর যখন কিশোরীরা তারুণ্যে প্রবেশ করে তখন তাদের সন্তান ধারণের ক্ষমতায় সমস্যা দেখা দেয়। তখন তারা নানা রকম infertility রোগের সমস্যায় ভোগেন। তখন তারা নানা রকম চিকিৎসা নিতে বাধ্য হন।

পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম (polycystic ovary syndrome) না হয় সেই জন্য কৈশোরই অবস্থা ওজন বৃদ্ধির হার কমাতে হবে। আর সেই জন্য কিশোর-কিশোরীদের অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে।

ওজন কমাবেন কীভাবে

> প্রথমেই মনে রাখতে হবে, দ্রুত বা তাড়াহুড়ো করে ওজন কমানো সম্ভব নয়। নিয়মমাফিক ধৈর্য সহকারে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। শুরুতেই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে। শারীরিক কোনো রোগ শনাক্ত করা গেলে সে অনুযায়ী চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে। এ ছাড়া ওজন কমানোর অন্যান্য পদ্ধতিগুলো আপনার নিজের হাতের মুঠোতেই। পেটটা অতিরিক্ত খেয়ে ভর্তি না করাই ভালো। বরং পেটের কিছুটা অংশটা খালি রাখা ভালো।

> ওজন সীমিত রাখতে পরিমিত খাবার খেতে হবে।

> কম ক্যালরিযুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে।

> ফাস্ট ফুড-জাতীয় খাদ্য এবং বাইরের খাবার না খাওয়া।

> খাদ্যতালিকায় আঁশযুক্ত খাবার, ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেন থাকে।

> চিনি, মিষ্টিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা।

> বাড়তি চর্বি কমানোর জন্য প্রতিদিন পরিশ্রম করতে হবে। সম্ভব হলে ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম, সাঁতার কাটা, সাইক্লিং, জগিং ইত্যাদি অভ্যাস করা ভালো।

> অ্যালকোহল, এনার্জি ও হেলথ ড্রিংকস, কোমল পানীয়, ফাস্ট ফুড ইত্যাদি মোটা হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।